Friday, February 27, 2009

শুধু আজকের নয় আগামীকালেরও বটে

শুধু আজকের নয় আগামীকালেরও বটে - আবদুল ওয়াহিদ

শুরু আর শেষের তফাৎ বুঝা সবসময় সহজ নয়। এমন হতে পারে আমরা যেটাকে শেষ বলছি তা প্রকারান্তরে নতুন করে শুরু হওয়া অথবা বলা যায় ঘটনার মোড় পরিবর্তন। ইতিহাসের যে অবস্থানে আমরা আছি প্রতি মুহুর্তে নতুন নতুন হতাশা যেন ছোবল মারছে। তবে আমরা সচেতনে হোক অসচেতনে বুঝি দ্বন্দ্ধ ছাড়া আমাদের এগুনোর কোন উপায় নাই। এটা ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে, গোষ্ঠিতে গোষ্ঠিতে হতে পারে। এটা হলো ইনসাফের প্রশ্ন। এটা এমন যে, যেখানে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা শক্তিকে সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা দেয় না। এমনকি বিচারকেরও বিচার অবশ্যম্ভাবী।

আমাদের এই দ্বন্দ্ধ শুধু ব্যক্তি বা গোষ্ঠি প্রয়োজনে নয় বরঙ ব্যক্তিক ও সামষ্টিক দম্ভকে চুর্ন করে দেয়ার জন্য। নায্যতা কখনো কেন্দ্রীভূত থাকে না বরঙ থাকে বিভিন্ন ভরকেন্দ্রে আশ্রয় নিতে হয়। তবেই শান্তি।

আমরা অলীক শৃংখলা স্বাধীনতার ঘোরে অন্ধ। অথচও এটা বুঝতে চাই না আমাদের অসংখ্য পরিবর্তন, পরিমার্জন, পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আপনি বা আমি যাকে শৃংখলা বলছি তা যে বঞ্ছনার শৃংখল নয় কে বলতে পারে। অথবা আমরা কতটুকু সত্য জানছি তা বলা সম্ভব নয়। আমরা কি দেখি, কি বুঝি সেও রহস্য বটে। নুন্যতমভাবে জানা উচিত অন্ধ হলে প্রলয় বন্দ্ধ হয় না। আমাদের অন্দ্ধত্ব অনুদারতা কর্তৃত্বপরয়নতা আজ অসংখ্য অন্যায় কাজ বৈধ করে দিচ্ছে। অতীতে দিয়েছে হয়তো ভবিষ্যতেও দেবে।

আজ অনেক নাটক হতে পারে, হতে পারে ব্যাপক প্রতিক্রিয়াশীলতা কিন্তু কেউ বলতে পারবে না সত্য বদলে গেছে। ইতিহাস নিপীড়িতকে নিপীড়নের গল্প বলার সুযোগ দেয়, তার মানে এই নয় যে সে নিপীড়িতকে জবাব দেয়ার সুযোগ করে দেয় না। তা কতো নির্মম তা আজ আমরা দেখছি।

তাই বলে আমরা চাই না যেন তেন উত্তর দেয়ার মধ্যেই চুড়ান্ত ইনসাফ কায়েম হয়, বরঙ সকলকেই কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। হিসেব করতে হবে কে কি করল।

....ইনসাফ প্রতিষ্টাই বিপ্লবের লক্ষ্য।
সে বিপ্লবের অধিকার আম জনতার, তারা যতদিন না জেগে উঠবে ততদিন কোন ধরণের বিপ্লব সাধিত হবে না। তাই যেন আমরা ঘটনার ভুল ব্যাখ্যা না করি এই সচেতনতা প্রয়োজন।

বাঙলাদেশ সহী হোক।

No comments:

Post a Comment