Thursday, February 26, 2009

অর্থই অনর্থের মূল !!

অর্থই অনর্থের মূল !! - আবদুল ওয়াহিদ

আল্লাহ তায়ালা আদম (আঃ) কে বস্তুসমুহের নাম শেখালেন। নাম পরিচয়ের মাধ্যমে তিনি আদম (আঃ) কে ফেরেশতাদের চেয়ে বড় স্থান দিলেন। এই বড় স্থান দেয়াতে জ্বীন আজাজিল হয়ে গেলো মানব জাতির সবচেয়ে বড়ো শত্রু ইবলিস।

এভাবে নির্ধারিত হয়ে গেল আদম সন্তানের ভবিষ্যত। একমাত্র আদম সন্তানই জগতের সকল কিছুর নাম গোত্র সাকিন হদিস করে। আর নাম তো বস্তুর অর্থকে নির্দেশ করে। মানব জাতির কর্তৃত্বের কারন, সে অর্থ দানের ক্ষমতা রাখে। এটা তার সৃজনশীল ক্ষমতা। এই ক্ষমতা চর্চায় সে সফল। যারা সফল (?) তারাই জগতকে নির্মান করেছে। যেহেতু আমরা জানি বিজয়ীরা ইতিহাস রচনা করে।

বিজয়ীরা ইতিহাস রচনা করে, অপর অর্থে সেই বিজয়ী যে নিজের মতো করে কোন কিছুর অর্থ নির্মান করে টিকিয়ে রাখতে পারে।

কোন এক বন্ধুকে মেইল করে ছিলাম, 'দোস্ত কেমন আছ?'
সে উত্তর পাঠালো, 'কিভাবে বলি, ভালো মন্দ তো আপেক্ষিক বিষয়।'

তার দেয়া উত্তর মন্দ না। কিন্তু সমস্যায় পড়লাম যখন স্বরুপতঃ আপেক্ষিক শব্দটাকে বুঝতে গেলাম। অর্থগত দিক হতে যদি আপেক্ষিক ইটসেলফ আপেক্ষিক হয় তাহলে আমি আমার দোস্তকে বুঝতে পারি নাই। সে অর্থে আমরা নিজেরা কোন সাধারন অর্থ উৎপাদনের হিম্মত রাখি না। তাহলে আদম (আঃ) কে আল্লাহ তায়ালা যে ক্ষমতা দিলেন তার পরিস্ফুটন কিরুপে কি অর্থে, তা স্পষ্ট নয়।

আবার, এমন একটা জীবন যাপন করি, যেখানে মনে হয় বুঝা-পড়ার হয়ত বা ক্রিয়াশীল কোন মানদন্ড আছে। একই সাথে গুনগত ভাবে আমরা যে পরিমান অর্থ উৎপাদন করি, সে পরিমান অনর্থ উৎপাদনের ক্ষমতা রাখি বটে।

আপেক্ষিতার একটা সহজ উদাহরন হলো 'যা একজনের কাছে ভালো, তা অপরের কাছে হয়তো মন্দ'। অর্থ্যাৎ, অর্থ একই সাথে অনর্থকে ডেকে আনে।

নিউটনের সে তৃতীয় সুত্র, প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। একে শুধুমাত্র বস্তু জগতে সীমাবদ্ধ রাখতেই মন (?) থেকে সায় পাচ্ছি। তারপরও যে সামাজিক রাজনৈতিক প্রতিবেশে বেড়ে উঠেছি তাতে মনে হয় ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার চর্চাটাই উপরিপর্যু চোখে পড়ছে। এখানে অর্থ অনর্থের দ্বন্ধটা কোন সৃজনশীলতা ছাড়াই লেজে গোবরে অবস্থায় আছে। আমরা এ দ্বন্ধে এমন যুদ্ধে লিপ্ত যেখানে কেউ জয়ী হয় না। অর্থ্যাৎ, শুভ-অশুভ, অর্থ-অনর্থের কোন বালাই নাই।

যেহেতু বিশ্বাসে অন্ধ এই মন তাই বলছি, আল্লাহ তায়ালা কোন ভুল করেন না। অর্থ অনর্থ চিনতে না পারার অক্ষমতা তিনি নিশ্চয় ক্ষমা করবেন এবঙ শুধরে দেবেন।


সত্যঃ ইহা কি বস্তু !

সত্যঃ ইহা কি বস্তু ! - আবদুল ওয়াহিদ

জ্ঞান তত্ত্বে কোনকিছুকে সরাসরি সত্য দাবী করলে, নানান জাতের লোক আপনার উপর হামলে পড়বে। কোন হিম্মতে আপনি কোন কিছুরে সত্য বললেন। ব্লগীয় ভাষায় যেটাকে সত্য বলে দাবী করলেন, তাকে পর্যবেক্ষনে রাখা দরকার। যেমন একটা সত্য দাবীতে দু'ধরনের ভুল থাকতে পারে, ১. সম্ভাব্য ভুল, ২. প্রকৃত ভুল। ধরা যাক, আপনি বললেন আগামীকাল সকালে বৃষ্টি হবে ( নিশ্চয় আপনার কোন যুক্তি আছে ), যখন বললেন তখন এটা সম্ভাব্য ভুল। যদি পরদিন বৃষ্টি না হয় তবে এটা ছিলো প্রকৃত ভুল। আবার বৃষ্টি হলে সত্য পালে হাওয়া পাইলো। কিন্তু যখন নগদানগদি কথা হয় তখন প্রকৃত ভুলের সম্ভাবনা নাই। ঘটনা এত সহজ হলে অহেতুক এই প্যাচাল কেন?

যখন বাঙলাদেশে ট্রুথ সিরামের বদলে ট্রুথ কমিশন গঠন করা হলো মনে হচ্ছিল এখানে ভুলের কোন কায় কারবার নাই। তাই কোন কোন সরল মনের অধিকারী ( দুর্বল ঈমানী ) ব্যক্তি কনফেস করে আসলেন এবঙ কষ্টোর্জিত (?) অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা দিলেন। তারা মনে করলেন মানীর মান আল্লায় বাঁচায়। এখানে সম্ভাব্য বা প্রকৃত ভুলের কোন হিসেব নাই।

মান্যবর হাইজেনবার্গ বলে গিয়েছেন, তামাম দুনিয়ায় নিশ্চিত বলে কিছু নাই। অথবা শ্রেডিঙ্গারের মতো বিড়ালের লেজে বোমা বাঁধতে পারেন।

এতো প্যাচালের মুল কথা হলো এতোক্ষন যেটাকে সহি মনে হচ্ছিল তা ছিলো সম্ভাব্য ভুল। সরল মনে কনফেস এবঙ অর্থ দুটোই দেয়ার পর জানিতে পারিলেন, ট্রুথ কমিশন নিজেই সহী নন। এখন দুর্নীতিবাজ হিসেবে আপনাদের বিচার হবার সম্ভাবনা!!

আম ও ছালা দুটোই কি গেলো ?
আমি ইহারে সত্য বলিতেছি না, গণতন্ত্রের চরিত্র আশা করি চেনা আছে।

পুনশ্চ. মঈন উ আহমেদ একখানা কিতাব লিখিয়াছেন। ইহা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে লেখা আত্নজীবনী।

সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না

সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না- আবদুল ওয়াহিদ

যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না। আমি আমার বিবেককে স্বাক্ষী রাখিয়া কসম করিতেছি ইচ্ছাপূর্বক সত্য গোপন করিব না অথবা পাশ কাটাইয়া যাইব না।
জনাব,
আপনি পরম সত্য কথাটি উচ্চারণ করেছেন কিন্তু সত্য উক্তি করেন নাই। আপনি কিরুপে জানতে পারলেন সত্যকে সত্যরুপে জানেন। আলবত জানেন কিন্তু আমি বিশ্বাস করব না। আমি নৈরাশ্যবাদী নই।
সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্ম-সাম্প্রদায়িকতা নানাবিধ বাহাসের ভেতর লক্ষ্য করি সবাই সত্যের দিকে ধাবমান...
কিরুপে??