Friday, August 7, 2009

নক্ষত্রের সাথে জেগে থাকা

নক্ষত্রের সাথে জেগে থাকা


আকাশ দেখতে ভালো লাগে।

চাঁন সুরুজ ছাড়া কিছুই চিনি না। তারপরও অচিন আকাশের' চে সুন্দর কিছু আছে বলে মনে হয় না। যা দেখি তা তো আছে, আর যা দেখি না তা রহস্যময় কিন্তু অর্থপূর্ণতা হয়েই যেন ধরা পড়ে। আকাশ দেখার সময় কোনটা? সময় অসময় বলে কিছু নাই। তুমি যখন চাও মেঘের ভেলায় ভাসতে পারো। রঙতুলি দিয়ে ইচ্ছে মতো ছবি আকঁতে পারো, শক্তি কুলালে দু'একটা কবিতা গান আসতে পারে।

ছোট্ট বেলায় কোন কোন রাতে ঘুম ভেঙ্গে কি যে কান্না পেতো। জানালায় দিয়ে আসা চাঁদের আলোয় ঘর ভেসে যাচ্ছে, কিন্তু কখনো ঐ চাঁদে যেতে পারব না। মনি মনিক্য ভরা আকাশ কি সুন্দর ঝিকমিক করে। কেন জানি তখনই মনে হতো জাগতিক কোন সামর্থ্য লাভ করব না। তাই অলৌকিক সমাধানের চিন্তা করতাম। আমাকে যদি ফেরেশতা এসে বলে তুমি কি চাও? বিলকুল বলতাম, আমি অসীম মহাশূণ্যে অসীম সময় ধরে পরিভ্রমন করতে চাই। আর এখন চাওয়া-পাওয়ার দ্বন্ধে সে ইচ্ছে বলবধ আছে কিনা সে প্রশ্নে যেতে পারি না। এই তো জীবন।

আমি আর মুর্শেদ অনেক গভীর রাত পয্যন্ত ঘুরতাম। চুপচাপ। কেউ কোন কথা বলতাম না। পাছে আকাশে বাতাসে কি বিশৃঙ্খলা তৈরী হয়। মুর্শেদ একদিন বলল, আমি চলে যাচ্ছি। জানি সবাই কে চলে যেতে হয়। তাই বলেছি, ঐ নক্ষত্রটা আমাদের। যেখানে যাস নক্ষত্রটা দেখলে মনে করবি আমি আছি। আর আমিও তাই করি।

এখন কঠিন ভাবলেশহীন শহরে থাকি। দিন-রাত এখানে জীবন্মৃত। কোন সৌন্দর্য নেই যেন। হঠাৎ করে একটুকরো আকাশ চোখে পড়ে। কত যে ভালো লাগে। আবার যেন থমকে দাড়াঁয়। এই তো জীবন। তবুও স্বপ্ন দেখি তারা ভরা রাতে ঘাসের বনে শুয়ে আছি। জীবনানন্দের নায়কের মতো। ব্যতিক্রম হলো, আমি ঠিকই একদিন জেগে উঠব। এই শহরে অনেকদিন ঘুমোয় না। তারপর নক্ষত্রের দিন, নক্ষত্রের সাথে জেগে থাকা।

No comments:

Post a Comment